মার্কেটিং বা বাজারজাতকরণে 5Cs বিশ্লেষণ হলো একটি জনপ্রিয় মডেল। 5Cs মার্কেটিং সাধারণত মার্কেটারদের ব্যবসায়ের সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করে থাকে। এখানে 5Cs বলতে Customers, Company Competitors, Collaborators এবং Context কে বোঝানো হয়েছে। নিচে এরূপ 5Cs সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :
১. ক্রেতা (Customers): এক্ষেত্রে সম্ভাব্য ক্রেতাদের প্রয়োজন, অভাব, চাহিদা, বৈশিষ্ট্য, ক্রয়ক্ষমতা, ক্রয় অভ্যাস ইতাদি বিশ্লেষণ করতে হয়। ক্রেতা বলতে ঐ সকল সম্ভাব্য গ্রাহকদেরকে বোঝায় যারা পণ্য ক্রয় করতে আগ্রহী বা পণ্য ক্রয় করছে। ক্রেতারা ব্যবসায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
২. কোম্পানি (Company) : সাধারণ ভাষায়, কোম্পানি হলো এক ধরনের সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান, যেখানে কয়েকজন সদস্যের সম্মিলিত প্রয়োগে আইনগত এবং বৈধ উপায়ে পণ্য উৎপাদন ও মার্কেটিং কার্যক্রম সম্পাদিত হয়। বিভিন্ন বিভাগের সহায়তায় কোম্পানির কার্যক্রম সম্পাদিত হয়ে থাকে। যেমন- ক্রয় বিভাগ, বিক্রয় বিভাগ, হিসাব বিভাগ প্রভৃতি। কোম্পানির সার্বিক অবস্থা জানার জন্য SWOT বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত জরুরি। ক্রেতাদের প্রয়োজন বা চাহিদা পূরণে কোম্পানির কেমন সামর্থ্য রয়েছে তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ ।
৩. প্রতিযোগী (Competitors): বর্তমান ও সম্ভাব্য প্রতিযোগীদের শক্তি ও দুর্বলতাসমূহ বিশ্লেষণ করতে হবে। একই ধরনের পণ্য বা সেবা বাজারজাতকরণকারী সব প্রতিষ্ঠানই একে অন্যের প্রতিযোগী। প্রতিযোগীদের ব্যবসা নিজের ব্যবসায়ের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রতিনিয়তই রাখতে হয়। ই- মার্কেটিং-এ যারা প্রতিযোগী রয়েছে তাদের গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করেই ব্যবসায়ীকে এগিয়ে যেতে হবে ।
৪. সহযোগী (Collaborators) : সম্ভাব্য ডিস্ট্রিবিউটর, সাপ্লায়ার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী অথবা যেকোনো পার্টি সহযোগী হিসেবে বিবেচিত। ই-মার্কেটিং-এর ক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে।
৫. কনটেক্সট বা ক্লাইমেট (Context or climate): ই-মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে পরিবেশ পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করতে হয়। যেমন- রাজনৈতিক ইস্যু, (ট্রেড রেগুলেশন, কর, শ্রম আইন ইত্যাদি), অর্থনৈতিক ইস্যু (শ্রম মূল্য, প্রবৃদ্ধির হার), সামাজিক ইস্যু (শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভৌগোলিক বিষয়) এবং প্রযুক্তিগত ইস্যু ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করতে হয়। একটি ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে অবশ্যই PESTEL বিশ্লেষণ করতে হয়, যা নিচের চিত্রে তুলে ধরা হলো-
Read more